পোস্টগুলি

প্রস্রাব-পায়খানার বেগ পেলে ইমাম সাহেবের আগেই সালাম ফেরানো

প্রশ্ন:  ইমামের পেছনে নামাজ আদায় করাবস্থায় এক মুক্তাদির প্রচণ্ড প্রস্রাবের/পায়খানার বেগ পেয়েছে। ফলে সে শেষ বৈঠকে তাশাহহুদ পড়ে ইমাম সাহেবের আগেই সালাম ফিরিয়ে নামাজ থেকে বেরিয়ে গেছে। এতে কি তার নামাজ হয়েছে? উত্তর:  প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে তার নামাজ হয়ে যাবে। আর ওজরের কারণে এমনটা করায় মাকরুহও হবে না। সূত্র:  আদ-দুররুল মুখতার আলা হামিশি রদ্দির মুহতার : ২/২৪০, মাকতাবা যাকারিয়া; রদ্দুর মুহতার : ২/২৪০; হাশিয়াতুত তাহতাবি আলাদ দুররিল মুখতার : ১/২৩০, আল-মাকতাবাতুল আরাবিয়্যাহ; হাশিয়াতুত তাহতাবি আলা মারাকিল ফালাহ : ২৭৬, কদিমি কুতুবখানা; হালাবি কাবির : ২৯১, মাকতাবা রশিদিয়া; ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ১/৭৬, মাকতাবা যাকারিয়া; কিতাবুল আসার : ৬১, হাদিস নম্বর ১৯৮, মাকতাবাতুত তুল্লাব; নামাজ কে মাসায়েল কা এনসাইক্লোপিডিয়া : ১/১৪৬

পিতার কথা না শোনার হুকুম

প্রশ্ন:  পিতার কথা না শোনা কি কবিরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত? উত্তর:  হ্যাঁ, বৈধ কাজে পিতার কথা না শোনা কবিরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত। সূত্র:  সুরা আহকাফ : ১৫; মিশকাতুল মাসাবিহ : ৪২১, আশরাফি বুক ডিপো; জামিউত তিরমিজি : ২/১২, আল-মাকতাবাতুল মুত্তাহিদাহ; আল-মুসতাদরাকু লিল হাকিম : ৭২৬৩; সহিহুল বুখারি : ৬১৮২; কিতাবুন নাওয়াজিল : ১৫/১৩২, মারকাজুল ইলমি; ফাতাওয়া মাহমুদিয়া : ২৯/৯২, মাকতাবায়ে মাহমুদিয়া; আপ কে মাসায়েল আওর উন কা হল : ৮/৫৪৪, মাকতাবায়ে লুধয়ানবি।

কাঁকড়া, ঝিনুক ও শামুক খাওয়ার বিধান

প্রশ্ন: কাঁকড়া, ঝিনুক (clam, mussels) ও শামুক (oyster) খাওয়া জায়েজ আছে কি না? উত্তর: মাছ ছাড়া অন্য কোনো জলজ প্রাণী খাওয়া জায়েজ নেই। কাঁকড়া, ঝিনুক ও শামুক যেহেতু মাছ নয়, তাই এগুলো খাওয়াও জায়েজ নেই। সূত্র: বাদায়েউস সানায়ে : ৫/৩৫; আল-হিদায়া : ৪/৩৫৩; আল-ইখতিয়ার লিতালিলিল মুখতার : ৫/১৫; মাজমাউল আনহুর : ২/৫১৪; আপকে মাসায়েল আওর উন কা হল : ৫/৫০৫।

নতুন পশু ক্রয়ের পর হারানোটা পাওয়া গেলে

প্রশ্ন : কুরবানির পশু হারিয়ে যাওয়ার পর যদি আরেকটা কেনা হয় এবং হারানোটাও পাওয়া যায়, তাহলে কি উভয়টাই কুরবানি করতে হবে? উত্তর : কুরবানির পশু হারিয়ে যাওয়ার পর যদি আরেকটা কেনা হয় এবং পরে হারানোটাও পাওয়া যায়, তাহলে কুরবানিদাতা গরিব হলে (যার ওপর কুরবানি ওয়াজিব নয়) দুটো পশুই কুরবানি করতে হবে। কারণ, তার ওপর কুরবানি ওয়াজিব ছিল না; কিন্তু কুরবানির নিয়তে উভয় পশু কেনার কারণে উভয়টাই ওয়াজিব হয়ে গেছে। তবে সে ধনী হলে (যার ওপর কুরবানি ওয়াজিব) যে কোনো একটা পশু কুরবানি করলেই হবে। তবে উভয়টা কুরবানি করাই উত্তম। সূত্র : সুনানে বায়হাকি : ৫/২৪৪; ইলাউস সুনান : ১৭/২৮০; বাদায়ে সানায়ে : ৪/১৯৯; ফাতাওয়া কাজিখান : ৩/৩৪৭

শিংহীন কিংবা শিং-ভাঙা পশুর কুরবানি

প্রশ্ন : যে পশুর শিং ভেঙে বা ফেটে গেছে কিংবা একদম শিং নেই, সে পশু দ্বারা কুরবানি করলে কুরবানি হবে কি? উত্তর : যে পশুর শিং একেবারে গোড়া থেকে ভেঙে গেছে, যে কারণে মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সে পশুর কুরবানি জায়েজ নয়। পক্ষান্তরে যে পশুর অর্ধেক শিং বা কিছু শিং ফেটে বা ভেঙে গেছে বা শিং একেবারে উঠেইনি কিংবা গোড়া থেকে শিং উপড়ে এসেছে কিন্তু মস্তিষ্ক ক্ষতগ্রস্ত হয়নি, সে পশু কুরবানি করা জায়েজ। সূত্র : জামে তিরমিজি : ১/২৭৬; সুনানে আবু দাউদ : ৩৮৮; বাদায়ে সানায়ে : ৪/২১৬; রদ্দুল মুহতার : ৬/৩২৪; ফাতাওয়া আলমগিরি : ৫/২৯৭

দাঁতহীন পশুর দ্বারা কুরবানি

প্রশ্ন : দাঁতহীন পশু দ্বারা কুরবানি করা যাবে কি? উত্তর : যে পশুর একটি দাঁতও নেই বা এত বেশি দাঁত পড়ে গেছে যে, ঘাস বা খাদ্য চিবাতে পারে না, এমন পশু দ্বারা কুরবানি করা জায়েজ নয়। সূত্র : বাদায়ে সানায়ে; ৪/২১৫, ফাতাওয়া আলমগিরি : ৫/২৯৮

রুগ্ন ও দুর্বল পশুর কুরবানি

প্রশ্ন : দুর্বল পশু দ্বারা কুরবানি করা জায়েজ আছে কি? উত্তর : এমন শুকনো দুর্বল পশু, যা জবাইয়ের স্থান পর্যন্ত হেঁটে যেতে পারে না তা দ্বারা কুরবা নি করা জায়েজ নয়। সূত্র : জামে তিরমিজি : ১/২৭৫; ফাতাওয়া আলমগিরি : ৫/২৯৭; বাদায়ে সানায়ে : ৪/২১৪

খোঁড়া পশু দিয়ে কুরবানি

প্রশ্ন : যে পশুর এক পা খোঁড়া, সে পশু দিয়ে কুরবানি হবে কি? উত্তর : যে পশু তিন পায়ে চলে, এক পা মাটিতে রাখতে পারে না বা ভর করতে পারে না এমন পশু দিয়ে কুরবানি জায়েয নয়। সূত্র : সুনানে তিরমিজি : ১/২৭৫; সুনানে আবু দাউদ : ৩৮৭; বাদায়ে সানায়ে : ৪/২১৪; রদ্দুল মুহতার : ৬/৩২৩; ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ৫/২৯৭

কানে হেডফোন লাগিয়ে খবর শোনা অবস্থায় নামাজ পড়া

প্রশ্ন : কানে হেডফোন লাগিয়ে খবর শোনা অবস্থায় নামাজ পড়লে কি নামাজ হবে? উত্তর : কানে হেডফোন লাগিয়ে খবর শোনা অবস্থায় নামাজ পড়লে যদিও নামাজ নষ্ট হবে না, কিন্তু নামাজ মাকরুহ হবে এবং মারাত্মক গুনাহ হবে। সূত্র : আল-হিদায়াহ : ১/১৩৯; মোবাইল ও ইন্টারনেটের শরয়ি বিধান : ৯০

বাইআত হওয়ার বিধান

প্রশ্ন : বাইআত হওয়া কি আবশ্যক? উত্তর : সাধারণত বাইআত হওয়া সুন্নাত। ফরজ-ওয়াজিব কিছু না। তবে তাযকিয়া বা আত্মশুদ্ধি অর্জন করা ফরজ। তাই কারো যদি বাইআত হওয়া ছাড়া আত্মশুদ্ধি অর্জন না হয়, তাহলে তার জন্য বাইআত হওয়া আবশ্যক। সূত্র : সুরা মুমতাহিনা : ১২; সহিহ বুখারি : ১/৭; মিশকাতুল মাসাবিহ : ১৩; শিফাউল আলিল : ১৮; আহকামুল কুরআন (ইদরিস কান্ধলবি) : ৫/৫৫; ইলাউস সুনান : ১৭-১৮/৮৮২৮; কিফায়াতুল মুফতি : ২/৭২; আহসানুল ফাতাওয়া : ১/৫৪৫; ফাতাওয়া মাহমুদিয়া : ৬/২৬৮; আল-কাউলুল জামিল : ১২