তাহাজ্জুদ, আউয়াবিন ও অন্যান্য নফল নামাজ জামাতে পড়ার বিধান

প্রশ্ন: আমাদের এলাকার অনেক মসজিদে রমজান মাসে তাহাজ্জুদ ও আউয়াবিনের নামাজ জামাতে পড়া হয়। প্রশ্ন হল- তাহাজ্জুদ ও আউয়াবিন জামাতে পড়া জায়েজ আছে কী?

উত্তর: তাহাজ্জুদ ও আউয়াবিন নফল নামাজের অন্তর্ভুক্ত। আর নফল নামাজ জামাতে পড়ার হুকুম হল- যদি মুক্তাদি দু'জন হয়, তাহলে তা জায়েজ আছে। আর যদি তিনজন হয়, তাহলে এব্যাপারে ইমামদের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে। অনেকের মতে মুক্তাদি তিনজন হলেই সেই জামাত মাকরুহে তাহরিমি। কিন্তু মুক্তাদি যদি চারজন বা তারচেয়ে বেশি হয়, তাহলে সর্বসম্মতিক্রমে সেই জামাত মাকরুহে তাহরিমি তথা হারামের কাছাকাছি। আর বর্তমানে সাধারণত তাহাজ্জুদ ও আউয়াবিনের জামাতে দশ-বিশ বা তারচেয়েও বেশি সংখ্যক মানুষ হয়ে থাকে। তাই এই জামাত মাকরুহে তাহরিমি।
তাহাজ্জুদ ও আউয়াবিন উত্তম ইবাদত, অনেক সোয়াবের কাজ। কিন্তু তা একা পড়াই উত্তম। জামাতে পড়ার ক্ষেত্রে মুক্তাদি চারজন বা তারচেয়ে বেশি হলে, সেটা জায়েজ নেই। সেই জামাত পরিত্যাগ করা উচিত।

সূত্র: হালাবি কাবির : ১ : ৪৩২; হাশিয়াতুত তাহতাবি আলাদ্দুররিল মুখতার : ১ : ২৪০; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া : ২ : ২৯৩; রদ্দুল মুহতার : ২ : ২৮৮; ইমদাদুল আহকাম : ২ : ২২৫; ফাতাওয়া কাসিমিয়া : ৮ : ২৩৬

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় ফতোয়াসমূহ

গর্ভপাতের পর নামাজ

মুসাফির অবস্থায় জামাতে নামাজ এবং রাকাত সংখ্যা

দোয়া কুনুত না পড়ে রুকুতে চলে গেলে কী করবে?

কবর খননের সুন্নত পদ্ধতি